বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ৫ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সর্বমোট ৪৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানিতে শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, আসামির বিরুদ্ধে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় পাঠানোর কথা বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আজ আদালতে পাঁচটি মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভুক্তভোগীদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগও আছে। প্রতারণার টাকা কী করেছে, তার সঙ্গে আর কে কে জড়িত- এসব তথ্য উদঘাটনে তার ৪৪ দিনের দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
এর আগে ১৪ জুলাই দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন রোড নং-৪ এর একটি ভবনের নিচতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন ১৫ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। ৬ আগস্ট এক মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ওই মামলার রিমান্ড শেষে আজ আবারো রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।