তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় যারা যারা ফায়ার করেছে তারা সবাই অটোমেটিক আইডেন্টিফাই হয়ে যাবে। যতই এভিডেন্স লুকানো হোক না কেন।
উল্লেখ্য, এএসআই চঞ্চলকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট।
জুলাই আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে রাজধানীর বনশ্রীতে হোটেলে কাজ করে বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন। রামপুরার মেরাদিয়া সড়কের দুই পাশে পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি দেখে ভয়ে পেয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে পাশে থাকা নির্মাণাধীন চার তলা একটি ভবনের ছাদে উঠে পড়েন আমির। তার পিছু পিছু পুলিশও যায়। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে রড ধরে ঝুলতে থাকেন আমির। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাকে দেখেই গুলি করা শুরু করেন। আর নিচে লাফ দিতে বলেন। এরপর আরেকজন পুলিশ তিন তলায় গিয়ে ৬টা গুলি করেন, সেই গুলি তার দুই পা ও উরুতে লাগে। সবগুলো গুলি এক জায়গা দিয়ে ঢুকে অন্য জায়গা দিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর তিনি তিন তলায় পড়ে যান। তার চিৎকার শুনে চার-পাঁচজন লোক এসে তাকে উদ্ধার করে বনশ্রীর ফেমাস হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ব্যান্ডেজ ও রক্ত বন্ধ করার পর রাত ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে মেরাদিয়ার বাসায় ফেরেন আমির হোসেন।