সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের তালাবদ্ধ দপ্তরে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে টিকটক ভিডিও তৈরি ও তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ—ঘটনাটি নিয়ে এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) একটি টিকটক আইডি থেকে ভিডিও প্রকাশ পায়। এতে দেখা যায়, এক তরুণী উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে জনপ্রিয় একটি গানের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিও করছেন। পেছনে ঝুলানো নামফলকে পরিষ্কারভাবে চোখে পড়ে সাবেক চেয়ারম্যানদের নাম ও মেয়াদকাল, সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে—“চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, গোলাপগঞ্জ, সিলেট।”
ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়। শুরু হয় প্রশ্ন—তালাবদ্ধ দপ্তরে কীভাবে ঢুকলেন ওই তরুণী? কে দিল এই সুযোগ?
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, জন্মনিবন্ধনের কাজে উপজেলা নির্বাহী অফিসে এসেছিলেন ওই তরুণী। এক পর্যায়ে বাথরুম ব্যবহারের অজুহাতে চেয়ারম্যানের দপ্তরে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর সঙ্গী অপর এক তরুণীর সহায়তায় তৈরি করেন বিতর্কিত ভিডিও।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তে উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছে।
উপজেলা পরিষদের তিন কর্মচারীকে ইতোমধ্যেই কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, “ভিডিওতে থাকা তরুণী এখনো অজ্ঞাত। তিনি বলেন বাথরুম ব্যবহারের জন্য ওই কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন। এরপর চেয়ার দেখে টিকটক ভিডিও তৈরি করেন এবং তা আপলোড দেন। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং আমরা ভিডিও ও অন্যান্য তথ্য যাচাই করছি।”