ওসমানীনগর প্রতিনিধি::
সিলেটের ওসমানীনগরে সুপারি চুরির অভিযোগে মাত্র ১০ বছরের এক শিশুকে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতনের ঘটনাটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো এলাকায় নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় ওঠে। ঘটনার পরপরই তৎপর হয় পুলিশ গতকাল বুধবার দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন—বিশ্বনাথ থানার নিয়ামতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আসাদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (২৭) এবং ওসমানীনগর থানার সৈয়দ মান্দারুকা গ্রামের গেদাব আলীর ছেলে নাঈম আহমদ (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে সৈয়দ মান্দারুকা গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম (৩৮), পিতা আব্দুস সোবান—তার বাড়ির সুপারি গাছ থেকে একই গ্রামের শিশু সাদিকুর রহমান (১০) সুপারি তুলছিল। বিষয়টি টের পেয়ে কাইয়ুমের পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে।
এরপর শুরু হয় ভয়াবহ নির্যাতন—রশি দিয়ে শিশুটির হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়, এমনকি মাথার কিছু অংশের চুল কেটে ফেলা হয়। পুরো ঘটনাটি কেউ একজন মোবাইল ফোনে ধারণ করে এবং পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শিশুর এমন নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় অনেকে প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
ওসমানীনগর থানার পুলিশ ভিডিওটি নজরে আসার পরপরই অভিযান চালিয়ে জড়িতদের মধ্যে দুইজনকে আটক করে।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া বলেন,শিশু নির্যাতনের ঘটনায় আমরা দুইজনকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।