মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ-
জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত চন্ডিডহর-কলকলিয়া সড়ক। চন্ডিডহর থেকে সাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় ১৫/২০ হাজার মানুষের। সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
বিগত বন্যার পানির স্রোতে সড়কের অনেকস্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে সড়কে যানবাহন ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। সরকের দুরবস্থা দেখার কেউ নেই? সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে বেহাল দশা বিরাজ করছে। এর মধ্যে বৃষ্টি হলে পানি জমে গর্তগুলোতে কাদা, নর্দমা একাকার হয়ে সড়কটি পুকুরে পরিনত হয়।
খোজ নিয়ে জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে সুনামগঞ্জ জেলা শহর ও সিলেট বিভাগীয় শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হিসেবে এই সড়কেই বেশী চলাচল করতো কলকলিয়া ইউনিয়নের কান্দারগাঁও, নোয়াগাঁও, তেলিকোনা, কামারখাল, গলাখাল, শ্রীধরপাশা, জগদীশপুর, কাদিপুর, সাদিপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা এই সড়কটি। এর মধ্যে উল্লেখিত গ্রামগুলো থেকে শত শত শিক্ষার্থী প্রতিদিন সফাত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় জগদীশপুর, শ্রীধরপাশা দারুলউলুম মাদ্রাসা, আটপাড়া উচ্চ বিদ্যাল, শাহজালাল মহাবিদ্যালয়, জগন্নাথপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজে যাওয়া আসা করে। বছর খানেক ধরে সড়কের বেশীর ভাগ অংশে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে মারারত্মক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী। খানা খন্দের কারনে সড়কে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে এনেক প্রাণহানীসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে মানুষদেরকে। বিগত বন্যায় সড়কটি ভেঙে গেলে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগিতায় প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজ করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। কিছুদিন পর ৭০০ মিটার রাস্তার কাজ সরকারী ভাবে শুরু হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান দায়সারাভাবে কিছু নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত রাস্তাটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এতে করে মানুষের দুর্ভোগ দিন দিন বাড়তে থাকে। সড়কটি দেখার যেন কেউ নাই।