আবুল হাসনাত শিহাবঃ
১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ২০০১ সালে যশোর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৮৮ সালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এবং জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস দেশের সবচেয়ে পুরোনো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
১০ জানুয়ারি ২০১৮ ইং বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্মীয় সংগঠন ভাঙ্গার কারিগর, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব গং এর কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে যান সহজ-সরল মুফতি ওয়াক্কাস। জমিয়ত ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয় তার হাত থেকে।
তিনি থেমে যাননি । শেষ দিন পর্যন্ত জমিয়তের পতাকা হাতে চষে বেড়িয়েছেন ৫৫ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে। ওয়ালী উল্লাহী চিন্তাধারার নকিব হিসাবে সামনে ছিলেন উম্মাহর ন্যায়সংগত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে।
৩১ মার্চ ২০২১ ইং, ভোর ৪.৩০মিনিটে রাজধানী ঢাকার মহাখালী শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি।
আকাবিরে দেওবন্দের যোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে সবশ্রেণির জমিয়ত কর্মীর হৃদয়রাজ্যে বেঁচে আছেন মুফতি ওয়াক্কাস। জমিয়তের জন্য তার আত্মত্যাগ যুগের পর যুগ তারা শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে স্মরণ করবে।
লেখছেনঃ মাওঃ তোফায়েল গাজ্জালী হাফিঃ