1. info@www.awazsylhet.com : - :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“আনার আহমেদ: বরমচালের ফুটবলের অমর কিংবদন্তি, যিনি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা” রৌমারীতে ভয়ংকর মামলাবাজ প্রভাষক আবুল হাশেমের আতঙ্কে এলাকবাসী ঠাকুরগাঁওয়ে ভারতীয় বিএসএফের হাতে ৪জন বাংলাদেশি নাগরিক আটক। ঠাকুরগাঁওয়ে একজনের কদমগাছে আত্মহত্যা। ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আওয়ামীলীগের এমপি ফের কারাগারে প্রেরণ শার্শার বাগআঁচড়া থেকে ১০ পিস স্বর্ণের বারসহ এক পাচারকারী আটক। হরিপুরে লক্ষাধিক মানুষের ভূমি সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট এক মাদ্রাসা শিক্ষকে মৃত্যু। শার্শা সিমান্তে ১টি দেশী পিস্তল ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি। ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলে ভিন্ন আয়োজনে ১মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা

তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি সিলেট এমসি কলেজ: শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন শিবিরের

উৎসবের আলো
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

কুয়েটের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর নাম মিজানুর রহমান রিয়াদ। তিনি কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। শিবিরের নির্যাতনে আহত রিয়াদ এখন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি আনজুমানে আল ইসলাহ নামের একটি দলের ছাত্র সংগঠন তালামীযে ইসলামীর কর্মী।

সংগঠনটির নেতাদের দাবি-ছাত্রাবাসে সিট দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রশিবির। তবে, ছাত্রশিবির এমসি কলেজ শাখার সভাপতি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনা তদন্তে কলেজের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঘটনা জানতে চাইলে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে রিয়াদ বলেন, বুধবার রাতে খাবার শেষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় দরজায় প্রচণ্ড আঘাতের শব্দ পান তিনি। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে কলেজ ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জওহর লুকমান মুন্নার নেতৃত্বে ১০-১২ জন কর্মী রুমে ঢুকে লাথি দিয়ে তাকে মেঝেতে ফেলে দেয়। এরপর ফেসবুকে কুয়েটের ঘটনায় তুই শিবিরকে নিয়ে কী লিখেছিস বলেই তাকে চড়-থাপ্পড়, লাথি-ঘুসি মারতে থাকে তারা। একপর্যায়ে পাশের রুম থেকে রড এনে নাজমুল ও সালমান নামের দুই কর্মী তাকে পেটায়। রুমমেট জুনেদ এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। দরজা লাগিয়ে কয়েক ঘণ্টা রড দিয়ে বেধড়ক নির্যাতন চলে তার ওপর।

রিয়াদ অভিযোগ করে বলেন, তুই পরে যে অপবাদ দিবি, আগেই সেটি করে নিই-এই বলে শিবিরকর্মী আদনান ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার পায়ের রগ কাটার চেষ্টা করে। রুমের বাইরে সহপাঠী জুনেদের চিৎকারে ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা দীর্ঘক্ষণ পর সেখানে এসে জড়ো হন। শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকলে শিবিরের নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় রিয়াদকে রুম থেকে টেনে বের করে ফেলে চলে যায়। তাকে পুলিশে দেওয়ারও হুমকি দেয়। এরপর শিবিরের সেক্রেটারি বলে উঠেন, সে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিল, পুলিশে দেওয়ার দরকার নেই। মার যা দেওয়ার যথেষ্ট হয়েছে। আর যাতে সে ছাত্রাবাসে উঠতে না পারে। ছাত্রাবাস ত্যাগের সময় তারা কক্ষটিতে তালা দিয়ে রিয়াদ ও জুনেদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে এমসি কলেজ শাখার তালামীযে ইসলামের সভাপতি আলবাব হোসেন জানান, এই হামলা শুধু ফেসবুকের পোস্ট নিয়ে নয়। ছাত্রাবাসে যাতে ভিন্নমতের কেউ থাকতে না পারে সেই চেষ্টা করছে ছাত্রশিবির। এই হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি।

তবে ছাত্রশিবির কলেজ শাখার সভাপতি ইসমাইল খান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টিই ছাত্রশিবিরকে হেয় করার জন্য অপপ্রচার। এখানে শিবিরের কেউ নির্যাতন চালায়নি। হৃদয় নামের এক জুনিয়রের সঙ্গে রিয়াদের হাতাহাতি হয়। সে ঘটনায় সে আহত হয়। বরং এ ঘটনা জেনে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি সেখানে গিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

তিনি আরও বলেন, তালামীযে ইসলাম মূলত ছাত্রলীগের বি টিম। তাদের দলের নেতা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করে সংসদ-সদস্য (এমপি) হয়েছিলেন।

তিনি দাবি করেন, পুরো ঘটনা হাসপাতালে গিয়ে পালটানো হয়েছে। এ বিষয়ে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম রিয়াজ জানান, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (মিডিয়া) বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইন্টেল ওয়েব