সুনামগঞ্জে ভুয়া অভিযোগ ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি
অভিজিৎ হাজং :: প্রতিনিধি আওয়াজ সিলেট
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর বরাবর করা এক নামবিহীন অভিযোগপত্রের স্ক্যান কপি ভাইরাল হয়েছে। উক্ত অভিযোগপত্রে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ভুয়া ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কে বা কারা এই ভূয়া অভিযোগের কপি ছড়িয়েছে—এর কোনো সঠিক হদিস এখনো পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, একটি কুচক্রী মহল বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের দাবি, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঠ দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই এমন মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব রটানো হচ্ছে।নেতাকর্মীরা আরো বলেন, “যাদের জনপ্রিয়তা বেশি, তাদের নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয়—এটা স্বাভাবিক। কিন্তু কে বা কারা এমন ভুয়া অভিযোগ দায়ের করেছে, তা কেউই জানে না। এটি সম্পূর্ণ হাস্যকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি পদক্ষেপ, যা সুনামগঞ্জের সাধারণ মানুষ ইতোমধ্যে বুঝে ফেলেছে।” সাধারণ মানুষের মতে, জনবিচ্ছিন্ন কিছু সুবিধাবাদী মহলই এই ধরনের গুজব ছড়ানোর সাথে জড়িত থাকতে পারে। অন্যদিকে, সুশীল সমাজের অনেকেই এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি নিছক ব্যক্তিগত আক্রমণ ও নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের ঘায়েল করতে একটি গোষ্ঠীর কু-চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। বিশেষ করে “ধোপাজান কাণ্ড”-এর নাম ব্যবহার করে যে অভিযোগপত্রটি প্রচার করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের অনেককেই অতীতে ধোপাজান নদীর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থানে দেখা গেছে।স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এই ধরনের গুজব ও ভুয়া অভিযোগ ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে, যা রাজনৈতিকভাবে ন্যাক্কারজনক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।