তারা হকারি করে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে লেপ’ তোশক বিক্রি করে জীবন, জীবীকা নির্বাহ করে। মৌলভীবাজার জেলার প্রায় প্রত্যেক টা উপজেলায় এমন হকার’দের বিচরণ নতুন নয়।
তারা পরিশ্রম করে হেটে হেটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের লেপ, তোশক, বালিশ এগুলো বানিয়ে টাকা রোজগার করে । উল্লেখ্য, কুলাউড়া শহরের বাদে মনসুরের কয়েক টা কলোনিতে, প্রায় দুই-আড়াই’শ জন লোক(হকার) বস-বাস করে আসছে।
বিগত প্রায় ত্রিশ, চল্লিশ বৎসর যাবৎ তারা ও তাদের পূর্ব পুরুষ গণ কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা থানার প্রায় প্রত্যেক টা গ্রাম, গঞ্জে লেপ, তুষক, রাজাই বেড এর (হকার) ব্যবসা করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস থেকে জুড়ি বাজারের কিছু ব্যবসায়ী তাদের কে বিভিন্ন ভাবে বাধা বিপত্তি দিয়ে আসছে, তারা যেনো জুড়ি এলাকার কোনও স্থানে হকারি করে লেপ তোশক বিক্রি না করে।
তাদের এই ব্যবসা না করার জন্য বাধা- আপত্তি দিয়ে, তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা সহ বিভিন্ন হুমকী-ধামকি দিয়া আসতেছে।
স্থানীয় দোকানদার দের নিষেধ অমান্য করে জুড়ি এলাকায় কোনও লেপ তোশক ওয়ালা (হকার) প্রবেশ করলে বিভিন্ন জরিমানা সহ তাদের মালামাল জব্দ করে রেখে দেয় স্থানীয় দোকানদার রা।
তারা গরীব লোক বটে নিজেদের বাড়ী-ঘর ত্যাগ করে এই হকারি ব্যবসা করে তাদের পরিবার এবং তাদের সাথে থাকা আরও প্রায় দুই-আড়াই’শ জন লোক এখানে বসবাসের খরচ’সহ বাড়ীতে থাকা তাদের পরিবারের চাহিদা পুরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। উল্লেখ্য যে, জুড়ি বাজারের স্থানীয় দোকানদার রা, তাদের লেপ তুষকের মালামাল প্রায়ই কামিনীগঞ্জ বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে আটক করে রেখে দেয়। তারপর তাদের মহাজন রা আটককৃত মালামাল উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় দোকানদার দের নির্ধারিত জরিমানা দিয়ে তারপর সেই আটককৃত মালামাল সহ হকারদের উদ্ধার করে আনেন। স্থানীয় দোকানদার দের, অভিযোগ হকার রা, উল্লেখিত গ্রাম এলাকায় লেপ, তুষক, রাজাই বেড এর ব্যবসা করায় দোকানদার দের, দোকানে কাষ্টমার কমে যায়। দোকানদার দের এমন আচরণে তাদের (হকারদের) ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে।
কিন্তু এই হকারদের এই করুন অবস্থা দেখার যেনো কেউ নাই।
হকারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত বিষয় নিয়ে, স্থানীয় ইউ.পি চেয়ারম্যান ও ইউ.পি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট বিচার প্রার্থী হয়েও কোনও সুরাহা পায় নাই হকাররা। উল্লেখিত দোকানদার রা, স্থানীয় এলাকার লোকজন হওয়ায় বিষয়টির কোন সঠিক বিচার করতে এগিয়ে আসে নাই কেউ।
বর্তমানে স্থানীয় দোকানদার দের ভয়ে তারা (হকার) কোনও উপায়ে ও জুড়ি এলাকায় ব্যবসা করতে পারছে না, এমন কি ওই এলাকা গুলো থেকে কাস্টমার রা লেপ তোশক বানানোর জন্য ফোন দিলেও তারা স্থানীয় দোকানদার দের ভয়ে ওই এলাকা গুলো তে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না।
অতএব, এই লেপ তোশক ওয়ালা হকার দের দুর্দশা দেখার কেউ নেই।