জগন্নাথপুরে কৃষির পাশাপাশি হাঁস পালনে বেকারত্ব দুর করে পেয়েছে স্বচ্ছলতা।
মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি।
বর্ষায় হাঁস পালনে ভাগ্য ফিরছে জগন্নাথপুরের খামারিদের। উপজেলার সবকটি বিল এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক অস্থায়ী হাঁসের খামার। খামারিরা বলছেন, উন্মুক্ত পানিতে কম খরচে হাঁস পালন সম্ভব। অনেকে বেকারত্ব দূর করে পেয়েছেন সচ্ছলতা। হাঁস পালন হয়ে উঠেছে লাভজনক পেশা। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস বলছে, বর্ষায় হাঁস পালনে আয় বেশি, খরচ কম। খামারিদের দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্ষার পানিতে থইথই করছে উপজেলার নলুয়ার হাওরসহ ছোট বড় হাওরের বিল। চারদিকে কেবল পানি আর পানি। ওই পানিতেই দল বেঁধে খাবার খাচ্ছে সাদা, আর কালো বর্ণের হাঁস। কখনো তারা প্যাক প্যাক করে ডাকছে। কখনো এক সঙ্গে পানিতে ডুব দিচ্ছে। খাওয়া আর সাঁতার কাটা চলছে সমান তালে।
সারা দিন বিলের পানিতে ঘুরে বেড়িয়ে সন্ধ্যায় খামারে ফেরে হাঁসের ঝাঁক। সামনে হাঁস, পেছনে নৌকা- এই দৃশ্য এখন পরিচিত হয়ে উঠেছে নড়াইলের শোলপুর গ্রামে। এ ছাড়া বড়েন্দারের, ইছামতী, কলোড়া, দুধপাতাল, পাটেরশরীসহ ১২টি বিল ঘিরে অন্তত ১৫০ কৃষক ও যুবক গড়ে তুলেছেন অস্থায়ী হাঁসের খামার। বর্ষার পানিতে হাঁস পালন এখন তাদের জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
শ্রীধরপাশা গ্রামের বাসিন্দা বাদশা কবিরাজ বলেন, আমি একসময় কৃষি কাজ করতাম। কয়েক বছর আগে কৃষিতে লোকসান গুনতে গুনতে শুরু করেন হাঁস পালনের কাজ। বললেন, বন্ধুদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে প্রথমে ৫০০ হাঁস দিয়ে খামার শুরু করি। এখন খামারে ২০০০ হাঁস আছে।