মোঃ নাজমুল ইসলাম,
আওয়াজ সিলেট | আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জাপানের রাজপুত্র হিসাহিতো ১৮ বছর পূর্ণ করে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছেন। গত ৪০ বছরে তিনিই রাজপরিবারের প্রথম পুরুষ সদস্য যিনি প্রাপ্তবয়স্ক হলেন। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তিনি হয়তো শেষজনও হতে পারেন।
হিসাহিতো বর্তমানে ‘ক্রিস্যানথেমাম সিংহাসন’-এর উত্তরাধিকারী তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। ভবিষ্যতে সম্রাট হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তাঁর পরে আর কোনো পুরুষ উত্তরাধিকারী নেই। এ কারণে রাজপরিবারের সামনে বড় প্রশ্ন—১৯ শতকে প্রণীত সেই আইন পরিবর্তন করা হবে কি না, যা নারী উত্তরাধিকার নিষিদ্ধ করেছিল।
২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া হিসাহিতো যুবরাজ আকিশিনো ও যুবরাজ্ঞী কিকোর একমাত্র পুত্র। তাঁর দুই বড় বোন রাজকুমারী কাকো ও প্রাক্তন রাজকুমারী মাকো। বর্তমানে তিনি টোকিওর নিকটবর্তী সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়ছেন। ব্যাডমিন্টন খেলা ও পোকামাকড় বিশেষ করে ড্রাগনফ্লাই নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী এই তরুণ রাজপুত্র।
বর্তমান সম্রাট নারুহিতোর একমাত্র সন্তান রাজকুমারী আইকো। তবে বিদ্যমান আইনের কারণে তিনি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হতে পারবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পুরুষ উত্তরাধিকারের ওপর নির্ভর করা একটি ভঙ্গুর ব্যবস্থা, যা রাজপরিবারের ভবিষ্যৎকে সংকটের মুখে ফেলছে।
অতীতে জাপানে আটজন নারী সম্রাট ছিলেন, সর্বশেষ ১৮শ শতকে। তবে ১৮৮৯ সালের সংবিধান এবং পরবর্তী ১৯৪৭ সালের রাজপরিবার আইন নারীদের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে। যদিও ২০০৫ সালে নারী সম্রাট অনুমোদনের একটি প্রস্তাব উঠেছিল, হিসাহিতোর জন্মের পর তা থেমে যায়।
বর্তমানে বিতর্ক আটকে আছে এই প্রশ্নে—রাজকুমারীরা সাধারণ নাগরিককে বিয়ে করলে তাঁরা এবং তাঁদের সন্তানরা রাজকীয় মর্যাদা ধরে রাখবেন কি না।
রাজপ্রাসাদ বিভাগের প্রাক্তন প্রধান শিঙ্গো হাকেতা বলেন, “মূল প্রশ্নটা নারী বা পুরুষ উত্তরাধিকার নয়, বরং কীভাবে রাজতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখা যায়।”
📌 সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (AP)