সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রহমত আলীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৮ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে, উপজেলার ৭নং লক্ষীপুর ইউনিয়নের শুড়িগাঁও জামে মসজিদ মক্তবে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী (১১), দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এবং নিয়মিত মক্তবে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করত।
অভিযোগে জানা যায়, ওইদিন আরবি শিক্ষা শেষে মসজিদের ইমাম ও চামতলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রহমত আলী (৪৫), শিক্ষার্থীকে ইমামের থাকার কক্ষে ঝাড়ু দিতে পাঠান। সেখানে একা পেয়ে তিনি শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রথমে ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও পরে ভুক্তভোগী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবার ঘটনাটি জানতে পারে। ৩১ আগস্ট তাকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার-শালিস বসানো হলেও সেখানে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ইমামকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, মাওলানা রহমত আলী উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের হাবিবনগর গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর পুত্র ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের শুড়িগাঁও জামে মসজিদের ইমাম ও চামতলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়রা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মী:জাহিদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান অভিযুক্ত রহমত আলীকে আটক করা হয়েছে। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।