সুনামগঞ্জ, ২৬ আগস্ট ২০২৫ (মঙ্গলবার):
সুনামগঞ্জ জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুযোগ্য উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন স্যার মহোদয়কে আজ এক হৃদয়গ্রাহী ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে মাদরাসা ও ওয়াক্ফ সিএমএস শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ (মউশিক) এর জেলা ও বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন মাদরাসা ও দীনিয়াত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মচারী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি একদিকে যেমন ছিল আনন্দঘন, তেমনি ছিল কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।
সম্মাননার পেছনের প্রেক্ষাপট: কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন স্যার দীর্ঘদিন যাবৎ ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলার কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করে তুলতে অসামান্য ভূমিকা পালন করে আসছেন।
তার সুদক্ষ প্রশাসনিক নেতৃত্বে জেলার দীনিয়াত শিক্ষা কার্যক্রম, মাসিক ইমাম প্রশিক্ষণ, ইসলামিক পাঠাগার উন্নয়ন, এবং মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে গুণগত পরিবর্তন এসেছে।
তিনি শিক্ষক সমাজের কল্যাণে নিবেদিত থেকে সকল শ্রেণির মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপ-পরিচালক মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, “স্যার একজন সৎ, মেধাবী ও দূরদর্শী প্রশাসক। শিক্ষক সমাজের সঙ্গে তাঁর আন্তরিক সম্পর্ক ও দায়িত্বশীল আচরণ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।”
পরে পরিষদের পক্ষ থেকে এক বিশেষ সম্মাননা স্মারক ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন নেতৃবৃন্দ। সম্মাননা গ্রহণ করে উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন স্যার বলেন,
“এই সম্মাননা আমার একার নয়, এটি পুরো ইসলামিক ফাউন্ডেশন টিমের সম্মিলিত চেষ্টার স্বীকৃতি। আমি কেবল আমার দায়িত্ব পালন করেছি। শিক্ষক সমাজের এই ভালোবাসা আমাকে আরও উৎসাহিত করবে।”
অনুষ্ঠান শেষে সম্মিলিতভাবে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়, যেখানে দেশ ও জাতির কল্যাণ, শিক্ষক সমাজের উন্নয়ন এবং ইসলামিক শিক্ষার প্রসার কামনা করা হয়।
সবশেষে উপস্থিত অতিথিদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়।
এই সম্মাননা অনুষ্ঠানটি সুনামগঞ্জ জেলার ইসলামিক শিক্ষা সম্প্রসারণ ও শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।