রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ- কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বুলবুল আহমেদ বিপ্লবের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা ২১ দিনেও গ্রেভতার হয়নি। পুর্ব শত্রুতার জেরে গত ১০ মে উপজেলার যাদুরচর (আকন্দপাড়া) গ্রামের ছুক্কু মিয়ার পুত্র নুরুন্নবী ও চাক্তাবাড়ী গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র আবু সায়েম পরিকল্পিতভাবে রাতের আধারে বিপ্লবের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মৃত ভেবে চাক্তাবাড়ী ভাষা সৈনিক গেটের পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিপ্লবকে ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে পুলিশ এসে বিপ্লবকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার যাদুরচর (আকন্দপাড়া) গ্রামের ছুক্কু মিয়ার পুত্র নুরুন্নবী ও চাক্তাবাড়ী গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র আবু সায়েম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দাতা হিসাবে টাকা উত্তোলন করে আসছিলেন। নুরুন্নবী এবং আবু সায়েমের বিরুদ্ধে কথা বলার কারনে কাল হয়ে দাঁড়ায় বুলবুল আহমেদ বিপ্লব। ৯ মে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিপ্লবকে ফোন করে কর্তিমারী বাজারের ডিকে হোটেলে ডেকে নেয় মাদক সম্রাট নুরুন্নবী। হোটেলে গিয়ে বিপ্লব দেখতে পান আবু সায়েম বসে ছিল ডিকে হোটেলে। তারা দুজন বিপ্লবের কাছে জানতে চান, মাদক ব্যবসায়ীদের কেন থানা পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে। বিপ্লব প্রতিবাদ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তার দোকানে চলে যায়। উক্ত ঘটনা তার পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনদের অবগত করেন। ১০ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নুরুন্নবী প্রকাশ্যে বিপ্লবের দোকানে গিয়ে বিপ্লবকে গুম করার হুমকি দেন। ঢাকা হতে মালামাল আসার কারনে বিপ্লবের দোকান বন্দ করতে একটু দেরী হয়। মালামাল গ্রহনের পর ঐ দিন দিবাগত অর্থাৎ ১১ মে রাত ১২ টা ৫০ নুরুন্নবী এবং আবু সায়েম একা পেয়ে বিপ্লবের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। বিপ্লবের মানিব্যাগে থাকা ৬২ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেন তারা। মৃত ভেবে চাক্তাবাড়ী ভাষা সৈনিক গেটের পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিপ্লবকে ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে পুলিশ এসে বিপ্লবকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরেও জ্ঞান না ফেরায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার্ড করেন। ১২ মে ২০২৫ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জ্ঞান পেরে বিপ্লবের। বিপ্লবের ভগ্নিপতি রৌমারী উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি কামরুজ্জামান বাবু দুজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে নুরুন্নবী এবং আবু সায়েম বিভিন্ন সাংবাদিকদের ম্যানেজ করে তাদের পক্ষে একের পর এক সংবাদ প্রকাশ করতে থাকে।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: লুৎফর রহমান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।