জেলা প্রতিনিধিঃ হাসিনুজ্জামান মিন্টুঃ
ঠাকুরগাঁও শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তায় অবস্থিত একটি বিধ্বস্ত ভবন, যা পূর্বে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে পরিচিত ছিল, সেটি ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক ও ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা জুলাই যোদ্ধা সংগঠনের নেতারা। সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ও একজন গুলিবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা মো. রায়হান অপু এই সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব দেন।
বুধবার দুপুর ২টায় শহরের টিএফসি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মো. রায়হান অপু বলেন, শহরের চৌরাস্তার কাছে একটি বিধ্বস্ত ও পরিত্যক্ত পোড়া ভবন দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। ৫ আগস্টের পূর্বে এটি আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে পরিচিত ছিল। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছি। পরিষ্কার করার পর আমরা সেখানে আমাদের সংগঠনের একটি ব্যানার লাগিয়েছিলাম এবং ভবনটি নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করছেন আমরা ভবনটি দখল করেছি।
তিনি নিজেদের ‘অপারগতা’ স্বীকার করে বলেন, আমি আবারও স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা ভবনটি মোটেও দখল করিনি। বরং সমাজের একটি ভালো কাজের জন্য, এটিকে সংস্কার করে সাময়িকভাবে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা করেছি মাত্র। কিন্তু এ নিয়ে নানা রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় এবং বিতর্ক তৈরি হওয়ায় আমরা ইতিমধ্যে আমাদের ব্যানারটি নামিয়ে ফেলেছি।
মো. রায়হান অপু জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের এই অফিসটিকে জিমন্যাসিয়াম হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করতে চেয়েছিলেন। তবে তারা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা এই মুহূর্তে ‘ফ্যাসিবাদীর অফিস’ ব্যবহার করবেন না। ভবিষ্যতে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভবনটি ব্যবহারের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল ১৪ মে ২০২৫ তারিখে ঠাকুরগাঁও জেলা জুলাই যোদ্ধা সংগঠন কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগের জেলা অফিস ‘দখল’ করা হয়েছিল। আজকের সংবাদ সম্মেলনে সেই বিষয়টি নিয়েও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।