রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি::- কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মির্জাপাড়া গ্রামের প্রভাষক আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে নিজ গ্রামসহ গোটা উপজেলার বহু মানুষকে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে প্রভাষক আবুল হাশেম মামলাবাজ হিসাবে পরিচিত।
পান থেকে চুন খসলেই মামলা ঢুকে দেন প্রভাষক আবুল হাশেম। তার এসব ভুয়া মামলার ফাঁদে পড়ে চরমভাবে হয়রানি ও ক্ষতির শিকার হচ্ছেন উপজেলাবাসী।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০/৮০টি মামলা করছেন প্রভাষক আবুল হাশেম। এসব মামলার বেশীরভাগই জমিসংক্রান্ত। গ্রামের এমনও লোক আছে যার বিরুদ্ধে ৩০/৩৫ টি মামলা ঠুকেছেন প্রভাষক আবুল হাশেম।
প্রভাষক আবুল হাশেমের নানা ছাদি মনি হাজীর অনেক সম্পত্তি ছিল। নানার মৃত্যুর পর তিন খালাদের নানার বাড়ীতে ঢুকতে দেয়নি প্রভাষক আবুল হাশেম ও তার মা। খালাদের ঠকিয়ে সমস্ত জমি দখল করেন প্রভাষক আবুল হাশেম। ৫ কোটি টাকার সরকারি খাস জমিও দখল করেছিল প্রভাষক আবুল হাশেম। প্রভাষক আবুল হাশেমের পিতা মৃত সিরাজুল ইসলাম তিনটি বিয়ে করেছিলেন। আবুল হাশেম তার সৎ ভাইদের সাথেও প্রতারণা করেছেন। নিজের পিতাকেও মারধর করেছিলেন প্রভাষক আবুল হাশেম।
নিজে মামলা করেই ক্ষান্ত হননি প্রভাষক আবুল হাশেম। নিজের বৃদ্ধা মাকে দিয়েও করিয়েছেন একাধিক মামলা। প্রভাষক আবুল হাশেমের দায়ের করা মিথ্যা মামলার কারণে আদালতের বারান্দায় দৌড়াদৌড়ি আর আর্থিক ক্ষতিতে পড়ে অনেকেই হয়েছেন নি:স্ব।
প্রভাষক আবুল হাশেমের মামলার শিকার হয়েছেন ইজলামারী গ্রামের আনোয়ার আর্মি, মির্জাপাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম, যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, জন্তিরকান্দা গ্রামের আব্দুল আজিজ, রৌমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, কাশিয়াবাড়ী গ্রামের শাহজামাল, মির্জাপাড়া গ্রামের ফজলু এবং আবছারসহ আরো অনেকে। প্রভাষক আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে কারো সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হলে তিলকে তাল বানিয়ে ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট করতে থাকে। তার ফেসবুক পোস্টের কারনেও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গোটা রৌমারীবাসী।
ভয়ংকর মামলাবাজ প্রভাষক আবুল হাশেমের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে উপজেলাবাসী।